
উৎসবে শরৎ নিয়ে কথামালায় অংশ নেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক আবু সাঈদ খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, লেখক, কবি ও পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, জাতীয় কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক, কবি লতিফুল ইসলাম শিবলিসহ আরও অনেকে।
শরৎ নিয়ে আমাদের সময় সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, বর্ষা কিংবা বসন্ত নিয়ে বিদ্রোহ হয়েছে, অনেক বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর উঠেছে। কিন্তু শরৎ নিয়ে কোনো দ্রোহের কাহিনি নেই। এমনকি বিদ্রোহী কবি নজরুলও শরতের কাছে এসে শান্ত ও শুভ্র হয়ে পড়েছেন। আমার কাছে এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। শরতের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক আছে। কিন্তু যত নগরায়ণ হচ্ছে, আমরা ততই প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। ১৯০৫ সালে শরৎে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ নিরসনের জন্য রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে রাখি বন্ধন উৎসব করেছিলেন। আমার মনে হয়, এখনো সেই রাখি বন্ধন দরকার।
তিনি আরও বলেন, এই দেশ গড়ার জন্য, সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ৫২, ৬৯, ৭১, ৯০ এবং সর্বশেষ ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়েছি। কবিতা, গান, আবৃত্তি, শিল্পীর তুলিতে আমাদের সেই সংহতির আবহ তৈরি করতে হবে। পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে হবে।